ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নৌকায় ভোট দিন, প্রত্যাশা পূরণ হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
নৌকায় ভোট দিন, প্রত্যাশা পূরণ হবে নির্বাচনী পথসভায় লিটন

রাজশাহী: দলমত নির্বিশেষে সবাই যে আশা বা প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবো। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের মাধ্যমে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করা হবে। 

বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গণসংযোগের এক পর্যায়ে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভেড়িপাড়া মোড়ে নির্বাচনী পথসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন 
একথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত পাঁচ বছরে রাজশাহী অনেক পিছিয়ে গেলো।

সড়কের গাছের বাতি বন্ধ হলো। চারদিকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ হলো। কিন্তু কোনো উন্নয়ন হলো না। যে মেয়র ঈদের আগে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ান, তিনি মহানগরীর ৮ লাখ মানুষের কল্যাণ করবেন কীভাবে? 

‘আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাই না। নৌকায় ভোট দিলে এক লাখ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে, আবেদন করেও যারা বাসাবাড়িতে গ্যাস পাননি, তাদের ঘরে ঘরে গ্যাস যাবে, নতুন নতুন স্কুল-কলেজ হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হলে এতোদিন অনেক কাজ হয়ে যেতো। কিন্তু যে সময় নষ্ট হয়েছে তা তো হয়েছে, আর সময় নষ্ট করা যাবে না। ’

মহানগরীর ভেড়িপাড়া মোড়ের নির্বাচনী পথসভা শেষে ওই এলাকায় গণসংযোগ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান, টুলটুলিপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন তিনি। এসময় স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট চান লিটন।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভা: এদিকে দুপুরে প্রকৌশলীদের এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন লিটন। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট রাজশাহী কেন্দ্রে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একটানা ১০ বছর সময় পেলে এতোদিনে রাজশাহীর চেহারাই পাল্টে যেত। এখানে উপস্থিত অনেক প্রকৌশলী নিয়ে অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি। আগামীতে সময় পেলে আর ৫০ বা ১০০ কোটি টাকা নয়, ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রকল্প এনে এটি কেবল আমার পক্ষেই করা সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।