একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকার দলীয়রা বহিরাগত সশস্ত্র ক্যাডারদের আনছে বলে অভিযোগ করেন দলটির নেতারা।
সেনা মোতায়েনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নৌকার জোয়ারে পরাজয় টের পেয়েই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে বিএনপি।
ভোট ডাকাতি করতে সরকারি দল ও প্রশাসন ষড়যন্ত্র করছে, এমন অভিযোগ করে নির্বাচনের তিনদিন আগে সেনা মোতায়েন চান মেয়রপ্রার্থী বুলবুল ।
বুলবুল বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৯টি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা পক্ষপাতিত্ব করছে বলেই মনে হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে থেকেই শহরে সেনা মোতায়েনের দাবি জানাই।
বুলবুল আরও বলেন, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো মামলা বা পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করছে। এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৫০ জন নেতাকর্মী এবং পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যাভাবে জেএমবি ও জামায়াতের সঙ্গে এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহী পুরনো মামলাতেও জড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল তার ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো- নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ, গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি, সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ, ভোটকেন্দ্রে ভোটারের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভোটকেন্দ্র রক্ষা করা।
তাদের এসব দাবি পূরণ হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে জানান বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন।
এদিকে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন দেখছি না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তারা পথ খুঁজছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। মানুষের মন জয় করতে না পেরে তাদের সহানুভূতি নেওয়ার জন্য নিজেরাই নিজের গণসংযোগে বোমা ফাটিয়েছে। তাদের নেতাদের কথপোকথনের অডিও টেপ ফাঁস হয়েছে। পুলিশ জড়িতের মধ্যে এক জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডেও নিয়েছে। এটা এখন প্রমাণিত।
অভিযোগ করে মেয়রপ্রার্থী লিটন বলেন, ‘জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি প্রার্থী বুলবুল ও তার লোকজন এখন মিথ্যাচার করছেন। নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কেবল তাই নয়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হলে বস্তি উচ্ছেদ করা হবে বলে অপপ্রচারও করছেন। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম বস্তিবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। অতীতে তাদেরকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হলে আমিই বাধা দিয়েছিলাম। কারণ যাদের আমরা পুনর্বাসন করতে পারবো না তাদের উচ্ছেদের অধিকার আমাদের নেই। তাই মেয়র হলে আমি বস্তি উচ্ছেদ নয়, তাদের জীবনমানের উন্নয়নেই কাজ করবো।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনের দিন যতই কাছে আসছে, ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দ ততই বাড়ছে। তাই যতই অপচেষ্টা করা হোক নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। এজন্য ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয়ভাবেই তাদের (বিএনপি) কোনো জনপ্রিয়তা নেই। বিএনপিতে অনেক বিভাজন, যা তাদের কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে। কোনো সমন্বয় নেই। অবস্থা এমন যে কর্মী সঙ্কটের কারণে পোস্টার-লিফলেটও পর্যন্ত ঠিকমতো লাগাতে পারেনি। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এসএস/এএটি