শুক্রবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বরিশাল নগরের কাশিপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনার বলেন, বরিশালে খুবই শান্ত ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়টি আমি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিভাগীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পৃক্ত তারা দয়া করে মস্তিষ্কে ধারণ করুন এবং আত্মস্ত করুন যে আপনারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পাশাপাশি সেই হিসেবে তারা নির্বাচনের সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আমি জানি তারা সরকারি কর্মকর্তা কিন্তু তার সঙ্গে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের যা কিছু নির্দেশনা তা পরিপূর্ণভাবে তাদের পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু ভোট হবে কি হবে না এই সংশয় প্রত্যেক প্রার্থীর মধ্যেই থাকে। প্রত্যেক প্রার্থীই চিন্তা করেন যে সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জয়ী হবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে প্রত্যেক প্রার্থীর ব্যক্তিগত মতামত আছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। নির্বাচনের বিভিন্ন আশঙ্কাকে নিরসন করার চেষ্টা করি আমরা। আশঙ্কা থেকে আমরা সচেতনতা-সতর্কতা বৃদ্ধি করি।
ইসি কমিশনার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছে। অনেককে সতর্ক করে দিয়েছি, জরিমানা করেছি, তবে কাউকে এখনও জেলে দেয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস), ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ওয়াইদুর রহমান মাহবুব, বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সিপিবির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এমএস/জেডএস