শনিবার (২৮ জুলাই) প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন সকালে নগরের ফকিরবাড়ি রোডে বাসদের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুখে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিলেও বাস্তবে শাসকদলের প্রার্থী প্রথম দিন থেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
মনীষা বলেন, বিভিন্ন এলাকার বস্তিবাসী, রিকশাচালক আমার পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনেককেই মারধর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়ররা প্রচার অভিযান চালাচ্ছে, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নগরের প্রথম নারী মেয়রপ্রার্থী বলেন, আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছি। কক্ষ অনুযায়ী এজেন্টও দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে যাদের এজেন্ট দেওয়া হবে তাদের ভয়-ভীতি দেখানোর কারণে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে টিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি বসে পড়ার জন্য নয়। আমি জয়লাভের জন্য নির্বাচন করছি। কারণ আমার জয়লাভের ওপর বরিশালের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আমি কখনোই শ্রমজীবী গরিব মানুষের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না।
‘আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন, আপনাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে, ভরসা আছে। আগামী ৩০ জুলাই মই মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সুনিশ্চিত রায় দিয়ে জয়যুক্ত করুন। ’
মনীষা হিসেবে যোগ্য, শিক্ষিত, সৎ, দেশপ্রেমিক প্রার্থীকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করুন। যাতে আগামী দিনে বরিশাল সিটি করপোরেশন হতে পারে উন্নয়নে, সমৃদ্ধিতে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাসদের সভাপতি ইমরান হাবিব রুম্মনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রচারণায় বিসিসির মেয়রপ্রার্থীদের সহধর্মিণীরা
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এমএস/এএ