ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাসিক নির্বাচন

১৮ দিনের প্রচারণা শেষে এখন ভোটের অপেক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
১৮ দিনের প্রচারণা শেষে এখন ভোটের অপেক্ষা রাসিক নির্বাচনকে ঘিরে চলছে প্রস্তুতি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা থেমেছে শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাতে। ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয়েছিল এই প্রচারণা। 

আগামী সোমবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। তাই মধ্যরাত থেকে প্রচারণার শেষ হওয়ায় প্রার্থীদের ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে।

তবে জয়-পরাজয় নিয়ে তাদের মনে করছে দুশ্চিন্তা খেলা করছে এখন।

প্রচারণার শেষদিন বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া উপেক্ষা করেই প্রার্থীরা প্রচারণা শেষ করেছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তারা চষে বেড়িয়েছেন নগরের পাড়া-মহল্লার অলিগলি।  

তাদের সমর্থনে দলীয় নেতাকর্মীরাও প্রচারণায় অংশ নেন। তাই প্রচার মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা নগর। প্রচারণা শেষ হওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে নতুন হিসেব-নিকেশ। কে হবেন রাজশাহীর পরবর্তী নগর-পিতা এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে এবার প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  

মেয়র পদের পাঁচজন প্রার্থী হলেন: 

১. আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) 
২. বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (ধানের শীষ)
৩. বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল)
৪. গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি)
৫. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা)। তবে নির্বাচন 

পর্যবেক্ষকদের মতে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যেই হবে ভোটের লড়াই।  
রাসিক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।  ছবি: বাংলানিউজরাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।

এবার সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।  

রাজশাহীতে এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮টি এবং বুথের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২০টি। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি বুথে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুইজন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এবার নগরীর দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। কেন্দ্র দুইটি রয়েছে রাজশাহীর বিবি হিন্দু একাডেমিতে। সেখানে আলাদাভাবে নারী ও পুরুষ ভোট কেন্দ্র রয়েছে।

এখানকার ইভিএমে পুরুষ ভোট কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন এক হাজার ৬৩৭ জন। আর নারী ভোট কেন্দ্রে ভোটার এক হাজার ৭৪৬ জন। পুরুষ কেন্দ্রে ৫টি এবং নারী কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬টি।  

এছাড়া ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এবার ১১৪টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এই কেন্দ্রগুলো বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ১৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম জানান, সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।  

রোববার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছানোর কাজ শুরু হবে। শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ৩০ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বলেও জানান রিটার্নিং অফিসার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।