রোববার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হাতে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, অমোছনীয় কালি, স্ট্যাম্প, প্যাড ও সিলসহ ভোটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সিটি করপোরেশন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন সদস্য এবং অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এসবের মধ্যে ১০ জন শুধু লাঠি ধারী আনসার বাকিরা সবাই অস্ত্রধারী। এর বাইরে র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি নির্বাচনী মাঠে থাকবে। কোনোটা থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে, কোনোটা থাকবে মোবাইল ফোর্স হিসেবে। আর এই মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি দুই ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি করে টিম থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। তবুও যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে সব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে কিছু কিছু ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেছে আবার কোনোটার পাওয়া যায়নি। যেগুলো পেয়েছি সেগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টদের তালিকা এখন পর্যন্ত কেউই পায়নি। তাহলে তাদের কিভাবে বাধা দেওয়া হবে। অনেক প্রার্থী রয়েছেন এরা পোলিং এজেন্ট না দিয়েও এমন অভিযোগ করেন। তাই বিষয়গুলোর ওপর খেয়াল রাখা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুলাই বিসিসির চতুর্থবারের নির্বাচনে ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের ৭৫০টি কক্ষের জন্য ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। যা বিকেল ৩টা থেকে বিতরণ করা হবে। এছাড়া মোট ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১টিতে ৭৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ২০হজার ৭৩০ জন নারী ও এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন পুরুষ রয়েছেন। নির্বাচনে এবারে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ ২ হাজারের অধিক, র্যাব সদস্য ৩ শতাধিক এবং আনসার থাকবে ২ হাজারেরও বেশি। এছাড়াও নির্বাচন চলাকালীন সময় ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল হাকিম দায়িত্বে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এমএস/এএটি