রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল থেকে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টরা জানান, সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।
তিন সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মোট ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নৌকা-ধানের শীষসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় প্রতীকের কারণে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের এ সিটি নির্বাচন পেয়েছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমে উঠেছে এ নির্বাচন।
তিন সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয় শনিবার (২৮ জুলাই) রাত ১২টায়। এখন শুধুই নীরবে ভোটাধিকার প্রয়োগের পালা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ২১৭ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপি মনোনীত মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির (জাপা) হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল), গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা)।
এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮টি এবং বুথের সংখ্যা এক হাজার ২০টি।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)
সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেটে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী, নাগরিক ফোরামের ব্যানারে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী নগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (হাত পাখা), সিপিবি-বাসদ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আবু জাফর (মই), সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের (হরিণ)।
তবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. বদরুজ্জামান সেলিম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনে তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার রয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।
২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি ভোটকেন্দ্র এবং ৯২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন (বিসিসি)
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মাঠে রয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী বশিরুল হক ঝুনু নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।
বরিশালে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মজিবর রহমান সরওয়ার, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ইকবাল হোসেন (তাপস), মই মার্কায় বাসদের ডা. মনীষা চক্রবর্তী, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি ওবাইদুর রহমান (মাহবুব), কাস্তে প্রতীকে সিপিবির অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
বরিশাল সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটিতে ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯১ জন ও নয়টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ২০ হজার ৭৩০ জন নারী ও এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন পুরুষ রয়েছেন। এখানে ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের ৭৫০টি ভোট কক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এমইউএম/জিপি