সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহী নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে তিনি ভোট দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন। আমরা এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশই চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত এমন পরিবেশই থাকবে। রাজশাহী শান্তির নগরী এখানে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।
জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লিটন বলেন, জয় আসবেই। এরপরও বলছি নির্বাচনে জয়-পরাজয় যায় হোক না কেন সেটা মেনে নেবো। এটা আমি আগেও বলেছি। এখনো বলছি। কারণ নির্বাচনের যাই হোক ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা সবাইকে রাখতে হবে।
সকাল ৮টা থেকে সিটি করপোরেশনের সবগুলো কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবার লিটন ছাড়াও চার জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (ধানের শীষ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল), গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা)।
রাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।
এবার সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসএস/এইচএ/