সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়টির নিচতলার নারী কেন্দ্রের ১, ২, ৩ ভোটকক্ষ থেকে ব্যালট ছিনতাই এবং দ্বিতীয় তলার পুরুষ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ভোটকক্ষে জাল ভোট দেওয়ার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
নারী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সয়ফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে নারী কেন্দ্রের বুথ তিনটিতে কিছু লোক ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়, তখন প্রত্যেকটি ব্যালট-বইয়ের ৫০টির মতো ভোটগ্রহণ হয়েছে কেবল, বাকি বই তারা নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এজন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রুবেল আহমেদের (রেডিও মার্কা) লোকজনকে অভিযুক্ত করেছেন।
পুরুষ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বাবলুর রশিদ জানান, সকাল ১০টার দিকে একজন মেয়র প্রার্থী ৩ নম্বর পুরুষ কক্ষে প্রবেশ করেন।
বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকধারী প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রাসেল মিয়া ওই মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন বলে দাবি করেন।
সেখানে উপস্থিত লোকজনের দাবি, কামরানের সঙ্গে আসা লোকজন একটি ব্যালট-বই থেকে ২৮টি, একটি থেকে ৩৩টি এবং একটি থেকে ৫৪টি জাল ভোট দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
এসময় সিপিবি-বাসদ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু জাফর (মই মার্কা) বলেন, ভোট আপাতত বন্ধ, দায়িত্বশীল কাউকে কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে না।
তখন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ডা. শাহরিয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, কেন্দ্রটি থেকে অনেক ব্যালট পেপার মিসিং হয়েছে। আমরা এর প্রকৃত হিসাব পাইনি। একজন মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খানিকবাদে খাজদবীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০ গজের বাইরে ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ব্যালট ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত রুবেলের লোকজন ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ একই ওয়ার্ডের টিফিন প্রতীকধারী কাউন্সিলর প্রার্থী রেজোয়ান আহমদের।
সোয়া ঘণ্টার মাথায় এ কেন্দ্রে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভোটগ্রহণ সাময়িক সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮/আপডেট ১৩০৩ ঘণ্টা
এনইউ/এইচএ/
