সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে ভোট কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারও বাড়ছে।
মহানগরীর অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে বর্তমানে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই ভোট দেওয়ার জন্য ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা বাড়ছে। তবে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অধিকাংশ কেন্দ্রেই পুরুষের চেয়ে নারীদের লাইন দীর্ঘ।
নগরীর ডাশমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। সকালের চেয়ে বেলা ১১টার পর নারী ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে।
নগরীর শাহ্ মখদুম কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ানো তোরাব আলী বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন চলছে। আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সহায়তা করছে।
ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধা স্বপ্না রাণী দাশ বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনসহ এ নিয়ে ছয় বার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। ভোটকেন্দ্রে খুবই শান্ত পরিবেশ। নিজের ভোটাধিকার নিজে প্রয়োগ করবো এটা ভেবে ভালো লাগছে।
পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় নগরীর বরেন্দ্র কলেজ ভোটকেন্দ্রে এসেছেন বৃদ্ধ এনামুল হক। অস্পষ্ট কণ্ঠে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। বয়স হয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এতো মানুষ দেখে মনে আনন্দও হচ্ছে। এলাকার অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, ভালো লাগছে।
ভোটকেন্দ্রে তাকে নিয়ে আসা তার নাতনী শাহানা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার দাদা ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। চোখেও কম দেখেন। তবুও সকাল থেকে ভোট দেওয়ার জন্য বেশ উদগ্রীব ছিলেন। কেন্দ্রে ভিড় হবে ভেবে সকালে পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে নিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসএস/টিএ