সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পৌনে ২টার দিকে সিলেট নগরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ প্রত্যয়কে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থি কাউন্সিলর জামশেদ সিরাজের সঙ্গে বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর প্রার্থী দিনার খান হাসুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, জামশেদ সিরাজের সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিচ্ছিল। বাধা দিতে গেলে হাসুর সমর্থকদের ওপর গুলি ছোড়ে তারা। এতে প্রত্যয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে বের দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
কেন্দ্র দুটি হচ্ছে-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজী বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
সিলেট সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার এমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দুটির সরঞ্জামাদিও বুঝে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মহানগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটিতে জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ঘণ্টা-দুয়েক কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টা থেকেই কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলছিল শান্তিপূর্ণভাবে; কিন্তু ১১টার দিকে হঠাৎ করে সেখানে একদল দুবৃর্ত্ত জাল ভোট দেওয়া ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে খাজদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে সেখানেও ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এনইউ/এমএ