সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। রোববার (০৪ নভেম্বর) বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ায় আইনি ভিত্তি নিয়ে আর কোনো জটিলতা থাকলো না।
এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১০ সালের জুন মাসে দেশে প্রথমবারের মতো সীমিত পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়।
২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজিটাইজড সুবিধা সম্বলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি।
২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দু’বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮-এ রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একীকরণসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- ইভিএমে আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করা হয়।
নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করেন পোলিং অফিসার।
ডেটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে।
মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোড QR CODE সহ আরও কিছু তথ্য সম্বলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেওয়া হয়।
ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে এলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা তিনটি পদের জন্য ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হয়।
ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতাম চেপে তার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
কখনো ভুলবশত কোনো প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রংয়ের CANCEL বোতাম চেপে পরবর্তীতে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে।
এভাবে দুইবার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস