জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোববার (০৫ নভেম্বর) রাতে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তফসিল ঘোষণার জন্য সংলাপের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ওনারা (ঐক্যফ্রন্ট নেতারা) বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৭ নভেম্বর আলোচনা রয়েছে তাদের, তাতে নজর রাখতে বলেছেন। তফসিল ঘোষণার একমাত্র এখতিয়ার ইসির। নির্বাচন কমিশন সেটা খেয়াল করে দেখবেন। তবে ৮ তারিখের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়ে রয়েছে। আমার মনে হয় না পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী ৮ নভেম্বর এ বিষয়ে বৈঠক, কিন্তু ৭ তারিখের ফলাফল ওখানে প্রতিফলিত হতে পারে।
তফসিল ঘোষণা পেছানো হবে কি-না জানতে চাইলে সচিব বলেন, কমিশন সেভাবে বলেননি। এ বিষয়ে ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় সভা হবে। সেখানে পুরো বিষয়টি দেখবে। ওনারা পেছানোর জন্যও বলেননি, এগোতেও বলেননি। ৭ নভেম্বরের বৈঠকে নজর রাখতে বলেছেন ওনারা।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও পোলিং এজেন্টের নিরাপত্তা বিধান ইসি করবে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের স্বাক্ষরসহ ফল ঘোষণা করা হবে। অত্যন্ত সুন্দর ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কোন কেন্দ্রে ভোট হবে তা সিদ্ধান্ত হয়নি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ৮ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার এখনও প্রস্তুতি রয়েছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
এর আগে ব্রিফিংয়ে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র আসম রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৭ নভেম্বরের সংলাপ ও পরে ফলাফল না জেনে তফসিল ঘোষণা না করতে দাবি জানিয়েছি। ওই তারিখে তফসিল ঘোষণা করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে।
বৈঠকে বাগবিতণ্ডায় উত্তাপ ছড়ানোর বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উত্তাপ নয়, ওনারা একটু ওভাবে কথা বলেন।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা আসম আব্দুর রব বলেন, গ্রেফতারের ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন চেয়েছেন তারা। একইসঙ্গে ইভিএম ব্যবহারে সিরিয়াস না হতে এবং তফসিল সংলাপের ফলাফলের পর প্রকাশ করতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস