সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকে এই বাক্যবিনিময় হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ঐক্যফ্রন্টের মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আ স ম আব্দুর রব, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতুল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার দাবি তোলে। তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আপনারা মেশিনটি না দেখেই মন্তব্য করছেন। ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে আপনারা টেকনিক্যাল টিম নিয়ে যাচাই করে দেখুন’।
এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ইভিএমে ম্যানুপুলেট (ফলাফল অনুকূলে নেওয়া) করা সম্ভব। আমরা আপনাদের প্রতি অনাস্থা জানাতে আসিনি। কিন্তু আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। ’
মান্নার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও জনগণের আস্থা নেই। ’
তার সঙ্গে যোগ করে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘আপনারা বড় বড় কথা বলেন...। ’
তার বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে মান্না বলে ওঠেন, ‘মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ। ’
এসব বক্তব্য সভাকক্ষের বাইরে অবস্থানরত গণমাধ্যমকর্মীরাও শুনতে পান।
সভার পর ব্রিফিংয়ে আব্দুর রবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতির ভাষায় কথা বলেছি। আপনারা আপনাদের ভাষায় লিখুন। ’
এরপর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় নয়। উনারা রাজনীতি করেন। রাজনীতির ভাষায়ই কথা বলেছেন। বৈঠক সুন্দর হয়েছে। ’
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপের ফলাফলের পর তফসিল ঘোষণা, গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন ও ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানানো হয়।
এদিকে এক চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকেও সংলাপের পর তফসিল ঘোষণা এবং ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানানো হয়েছে।
সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন সিইসি বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/