তিনি বলেছেন, এ খন পর্যন্ত তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। ৭ তারিখে (নভেম্বর) বিষয়টি আমরা আমলে নেবো।
মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করতে হবে। তবে তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে ৭ নভেম্বরের সংলাপের ফলাফলও প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম রয়েছে।
‘বিশ্ব ইজতেমা রয়েছে জানুয়ারি মাসে– ১৫ থেকে ২৬ তারিখ দুই দফায় ইজতেমা হবে। তখন সেখানে সারা দেশ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে নিয়োগ করতে হয়। তাই এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। ’
সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তবে ৫ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, তফসিল স্থগিত রাখার কিংবা সংলাপের ফলাফল জেনে তফসিল ঘোষণা করার।
৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবার সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আর কোনো সংলাপ হবে না এবং সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তফসিল দিয়ে ৪৫ দিনের কাছাকাছি অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর কাছাকাছি দিনে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুয়ায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮/আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা
ইইউডি/এমএ