তিনি বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা এবং আশা আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সবাই অংশ নেবে। এটি হবে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে আমরা সীমিত আকারে নির্বাচনে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের কথা বলেছি। যেহেতু এটা অনেকেই জানে না- তাই এর ব্যবহার নিয়ে পোলিং এজেন্টদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই- নির্বাচন কমিশনকে আমরা কখনই নিয়ন্ত্রণ করিনি। ভবিষ্যতেও করবো না। বরং আমরাই স্বাধীন ইলেকশন কমিশনের জন্য আন্দোলন করেছি। জনগণ রাজনৈতিক দল সবাই মিলে যদি আমরা সহায়তা করি তাহলে ইসি এমন উচ্চতায় পৌঁছাবে যে, কেউ আঙুল তোলার সাহস পাবে না।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তাদের সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।
পড়ুন>> ইসির সঙ্গে বৈঠকে আ’লীগ প্রতিনিধি দল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইসির উদ্দেশে পদযাত্রা নিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, এই বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে আমরা কখনই ছিলাম না। তবে আইনে উল্লেখ আছে, সেনা বাহিনীকে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক তাদের মাঠে নামাতে পারেন। নির্বাচনের সময় যেহেতু ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হন তারা প্রয়োজনে সেনা নামানোর নির্দেশনা দিতে পারেন।
‘আমরা অতীতেও দেখেছি, সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ’
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মির্জা ফখরুল বলেছেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। যেহেতু সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে, সেক্ষেত্রে সহিংস পরিস্থিতির বিষয়টিও আসে না।
ইসিতে বৈঠকের সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অঙুলি উচিয়ে তারা যেভাবে কথা বলেছেন সেটা কাম্য নয়। এধরনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে সকালে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট। বৈঠক করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ কয়েকটি দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
ইইউডি/এমএ/