এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, অনিবন্ধিতরা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে পারবে না। কিন্তু নিবন্ধিত দল চাইলে অনিবন্ধিত দলের সদস্যদের তাদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবে।
অনিবন্ধিতদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ‘আইন নেই’ বলেও মন্তব্য করেন ইসি সচিব।
আরও পড়ুন>> মিছিল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা
দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সংশ্লিষ্ট দলের ন্যূনতম তিন বছর সদস্য থাকার বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ থেকে ২০১৩ সালে তুলে দেওয়ায় এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্তমানে বিভিন্ন জোটের অনিবন্ধিত দলগুলোর পরিচিত নেতারা বড় কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতারদেরও বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, দলটির সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ যদি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে চায়, সিটা বন্ধ করার কোনো উপায় আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এমন কোনো আইন নেই।
এই অবস্থায় জামায়াতের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে দলগুলোকে জোটের তথ্য দিতে হবে। আমরা আজকেই চিঠি দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস