শনিবার (১৭ নভেম্বর) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি, আপনি, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না। মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সবসময় আমরা বলে থাকি, আপনারা হলেন কমিশনের অঙ্গপ্রতঙ্গ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন চায়, একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
কমিশনার বলেন, আমরা চাই, যারাই নির্বাচনে আসুক প্রত্যেকে দলমত নির্বিশেষে আপনারা আপনাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো রকমের প্রশ্ন উঠলে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, নিবন্ধিত দলের বাইরে অনেক অনিবন্ধিত দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। সব দল অংশ নেওয়ায় কমিশন আনন্দিত।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কেন্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিষয়ক প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/