নির্বাচন কমিশন সভায় রোববার (২৫ নভেম্বর) এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে এমন সিদ্ধান্তে ‘দলবাজ ৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার’ চেয়ে বিএনপির অভিযোগ এবং প্রশাসনে রদবদলের দাবি আর আমলে নেওয়া হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ৯২ জন প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তার বদলির বিষয়ে সভায় বড় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেকোনো কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে চাকরি করতে পারেন। তাই বলে তালিকার ভিত্তিতে তাদেরকে বদলির ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে ওনারা (কমিশন) কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিপত্র দিলে সেগুলো আমলে নেওয়া হবে। ঘোষিত কোনো প্রার্থী দরখাস্ত দিলে সেগুলো আমলে নিতে হবে। তবে প্রার্থী নয় এমন অনেকে আবেদন করেন, উড়োচিঠি দেন, সেগুলো আমলে না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, বিএনপির চিঠিগুলো পর্যালোচনা করে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিশন। কোন কোন চিঠির উত্তর দেবো, কোন চিঠির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কিছু চিঠিতে ঠুনকো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যেমন, বঙ্গভবনে কাকে খানাদানা করানো হয়েছে এসব চিঠি আমরা কেনো আমলে নেবো!
বৃহস্পতিবার ১৩টি চিঠি ইসিতে জমা দিয়েছিল বিএনপি। যে চিঠিগুলোতেই বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের তালিকাজুড়ে দেয় দলটি। ওইসব চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার সন্ধ্যায় এ বৈঠক করে কমিশন।
সোমবার সাংবাদিকদের রোববারের সভার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও সচিব মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস