ঝালকাঠি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
হলফনামায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও রাজাপুর-কাঠালিয়া আসনের বজলুল হক হারুন উল্লেখ করেছেন, তিনি স্নাতক পাস।
তারপরই সম্পদ এবং আয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, পেশায় আইনজীবী হয়ে বিভিন্ন খাত থেকে বছরে আয় করেন ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩২ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলে তার রয়েছে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সম্পদ। এছাড়া তার স্ত্রীর রয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার সম্পদ।
এরপর বছরে ৩২ লাখ ৩৩ হাজার ৩০১ টাকা আয় এবং স্থাবর-অস্থাবর মিলে পাঁচ কোটি ছয় লাখ টাকার সম্পদ নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির অপর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল।
হলফনামায় তিনি পেশায় ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৮৮০ টাকা। সেইসঙ্গে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছাড়াও যৌথ মালিকানায় তার কিছু জমি ও বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি তার স্ত্রীর আছে এক কোটি ৮৪ লাখ টাকার সম্পদ। এসময় ছাড়াও তার ওপর নির্ভরশীলদের ৮১ লাখ ১৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
ঝালকাঠির দুইটি আসনে সব প্রার্থীদের মধ্যে সম্পদ এবং আয়ে চার নম্বরে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, পেশায় তিনি আইনজীবী ও ব্যবসায়ী। তার বছরে আয় ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯০৩ টাকা। এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর মিলে তার রয়েছে চার কোটি ৪৮ লাখ টাকার সম্পদ।
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই। আগের ১২টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
এ দুই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২১ প্রার্থীর মধ্যে সাতজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে তাদের বেশির ভাগই প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএস/টিএ