এরমধ্যে ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি, জামায়াতকে ২৪টি ও অন্যদের ১৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গণফোরামের সাথে কয়েকটি আসন নিয়ে দরকাষাকষি চলছে।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডিকে ৫টি, গণফোরামকে ৫টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ৩ টি, নাগরিক ঐক্যকে ৫ টি এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে একটি আসন ছেড়েছে। বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরা ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জোটের যারা চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন
জেএসডি: আসম আবদুর রব (লক্ষীপুর-৪), আবদুল মালেক রতন (কুমিল্লা-৪), শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ঢাকা-১৮), সাইফুল ইসলাম, (কিশোরগঞ্জ-৩), নুরুল ইসলাম (শরীয়তপুর-১)।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তিনটি: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী ( টাঙ্গাইল-৮) ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল সিদ্দিকী।
গণফোরাম: মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-৭), এএইচএম খালেকুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৮), রেজা কিবরিয়া(হবিগঞ্জ-১), অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ (পাবনা-১), আমসা আমিন (কুড়িগ্রাম-২)। এছাড়া সুব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন তিনি ঢাকা-৬ আসনে জোটের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া: সুলতান মোহাম্মদ মনুসর (মৌলভীবাজার-২)
নাগরিক ঐক্য: মাহমুদুর রহমান মান্না( বগুড়া-২), এসএম আকবর (নারায়নগঞ্জ-৫), শাহ রহমত উল্লাহ (রংপুর-১) মোফাখখারুল ইসলাম (রংপুর-৫), নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (বরিশাল-৪)
২০ দলীয় জোট:
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) একটি, খেলাফত মজলিশ দুইটি, এলডিপি পাঁচটি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দুইটি।
২০ দলীয় জোটের বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান পিরোজপুর-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম তিনটি, এনপিপি একটি ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টিকে একটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
বিজেপি: ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। এনপিপি : নড়াইল-২ আসনে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। পিপলস পার্টি : রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমান। কল্যাণ পার্টি : চট্টগ্রাম- ৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এলডিপি: চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, চট্টগ্রাম – ৭ আসনে মো. নুরুল আলম, কুমিল্লা- ৭ আসনে রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষীপুর- ১ আসনে সাহাদাত হোসেন সেলিম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
খেলাফত মজলিশ: হবিগঞ্জ-৪ আসনে আহমেদ আবদুল কাদের ও নারায়নগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মুনির হোসেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম: সুনামগঞ্জ- ৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা শাহিনুর পাশা, হবিগঞ্জ-২ আসনে আবদুল বাসিদ আজাদ, যশোর-৫ আসনে মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর): গাইবান্ধা-৩ আসনে টিআই ফজলে রাব্বী, কুষ্টিয়া-২ আসনে আহসান হাবিব লিংকন।
এছাড়া জামায়াত ইসলামীর আসনের বিষয়ে এখনো বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কিছুই বলা হচ্ছে না। তবে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে তারা ২৪ টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
জামায়াত ইসলামী: ঢাকা-১৫ আসনের ডা. শফিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরোয়ার, চট্টগ্রাম- আসনে শামসুল ইসলাম, কক্সাবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ, সিলেট-৫ আসনে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে হাবিবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও -২ আসনে আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা- ১ আসনে মাজেদুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী। এছাড়া বাগেরহাট, পাবনা ও যশোরের আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে দলটি।
২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। শুধুমাত্র এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ নিজ দলের ‘ছাতা’ প্রতীকে ভোট করবেন।
জামায়াতসহ ২০ দলকে কতটি আসন ছাড়ছে এ বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে এখন কথা বলবেন না। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসন ভাগাভাগির আলোচনা চলছে, শেষ না হলে বলাটা ঠিক হবে না।
সর্বশেষ গত ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৫৯টি আসনে এককভাবে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। ওই নির্বাচনে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ শরিকদের ৪১টি আসন ছেড়ে দিয়েছিলো দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচ/এসআইএস