গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানিতে হাই প্রোফাইল প্রার্থিদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা মীর নাছির, মীর হেলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ উপদেষ্টা রুহুল আমীন হাওলাদার, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ তিন’শ প্রার্থীর আবেদন না মঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যরিষ্টার নাজমুল হুদা, বিএনপির প্রার্থী গোলাম গোলাম মওলা রনি, আফরোজা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপি প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যরিষ্টার আমিনুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী দুই শতাধিক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী আব্দুল মান্নানও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এবার সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন পড়ে ৫৪৩টি। এদের মধ্যে প্রথম দিনের শুনানিতে ৮০জন, দ্বিতীয় দিনে ৭৮জন এবং তৃতীয় দিন অন্তত ৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ২৪৩জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩’শ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫২২জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ১৮৫ জন।
আপিলে কোন দলের কত প্রার্থী টিকলেন:
শনিবার (৮ডিসেম্বর) আপিলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ১৮, গণফোরাম ৪, খেলাফত মজলিস ১, জেএসডি ৩, বিকল্পধারা ৫, জেপি ২, বিএনএফ ৪, ইসলামী ফ্রন্ট ১, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১, ইসলামী ঐক্যজোট ১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭, এনপিপি ২, জাকের পার্টি ৬, মুসলিম লীগ ৫, জাগপা ১, জাসদ ২, খেলাফত আন্দোলন ১ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ২ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এদিন স্বতন্ত্র ১৮জন প্রার্থির আপিল মঞ্জুর হয়েছে।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৭ডিসেম্বর) প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বিএনপির ২১ প্রার্থী, জাতীয় পার্টির ৭ জন, জাকের পার্টির ৭জন, জাসদ ৪জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ২জন, সিপিবি ৫জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৬জন, এনপিপির ৩জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৩ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১ জন, জেএসডি’র ২ জন, এলডিপির ১ জন, বিএনএফ এর ২ জন এবং ১২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (৬ডিসেম্বর) বিএনপির ৩৮জন স্বতন্ত্র ১৩ জনসহ বিভিন্ন দল মিলিয়ে ৭৮ জনের আপিল আবেদন মঞ্জুর হয়। যাদের প্রার্থিতা ফিরেছে।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি। বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৬৪টি আসনে ২৮১জন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৯৫টি আসনে ৬৯৬জন এবং জাতীয় প্রার্থী ২১০টি আসনে ২৩৩ জন প্রার্থী দিয়েছিল।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
ইইউডি/এসআইএস