রোববার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে নারী সমাবেশে এসব আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
এসময় মহিলা পরিষদ সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, নারীকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নারীরা সব পাড়ে। তার প্রমাণ দেশের তৈরি পোশাক খাত। সমাজে নারী-পুরুষের সমতা তৈরি করে এমন রাজনৈতিক দল পাচ্ছি না। গত ১০ বছরে একবারও বলা হলো না নারী নির্যাতনে জিরো টলারেন্স। সংসদে এ বিষয়ে কোনো কথাও বলা হয় না।
মহিলা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, আমরা কাকে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেবো, এ নিয়ে দিশেহারা। তবে যারা প্রতিশ্রুতি দেবেন আগামীতে সরাসরি নির্বাচনে নারী আসন বাড়ানো হবে, তাদেরই আমরা ভোট দেবো। কোনো মাদক বিক্রেতাকে আমরা ভোট দেবো না।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি তাতে আহবান জানান, আসন্ন নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, ঋণখেলাপি, নারী নির্যাতনকারী, মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীর সঙ্গে কোনো প্রকার একাত্বতা করা হবে না। নির্বাচনে নারী ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য ভোটকেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রগতি বিরোধীদের নির্বাচনে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনে ‘না-ভোট’ প্রয়োগের বিধান রাখাতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনকে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখারও আহবান জানানো হয়।
সমাবেশে মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএআর/টিএ