সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়ে তিনজন স্বতন্ত্রসহ চূড়ান্ত ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির জহির উদ্দিন স্বপন (ধানের শীষ), জাকের পার্টির মো. বাদশা মিয়া (গোলাপ ফুল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাসেল সরদার (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহে আলম (নৌকা), বিএনপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মো. মাসুদ পারভেজ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাহেব আলী (আম), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জহুরুল ইসলাম (হাতুড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনিচুজ্জামান (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির টিপু সুলতান (নৌকা), বিএনপির জয়নুল আবেদীন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের এনায়েত কবির (কুলা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ পঙ্কজ নাথ (নৌকা), বিএনপির জে এম নুরুর রহমান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ মো. নুরুল কারীম (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাহাবুবুল আলম (বটগাছ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রুহুল আমিন (দেওয়াল ঘড়ি), বিএনএফ’র এনামুল হক (টেলিভিশন) ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাইফুল্লাহ (মিনার) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এ কে এম মুরতজা আবেদীন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (হাতপাখা), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আবদুস ছাত্তার (কোদাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শামীমা নাসরিন (আম) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির এইচ এম মাসুম বিল্লাহ (কাঠাল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-৬ আসনে জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রতনা (লাঙ্গল), বিএনপির আবুল হোসেন খান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নুরুল ইসলাম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির (জেপি) খন্দকার মাহাতাব উদ্দিন (বাইসাইকেল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ কে এম নুরুল ইসলাম (তারা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. মোহসীন (মশাল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী তালুকদার (সিংহ) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমান জানান, যাচাই-বাছাই, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা নির্বাচনী বিধি-নিষেধ মেনে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। আমরা আশা করি, যেভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেইভাবে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে, সব প্রার্থী নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবে।
এদিকে প্রতীক পেয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, প্রতীক পেয়ে উচ্ছসিত সবাই। কারণ, ধানের শীষ বরিশালের উন্নয়নের প্রতীক। তবে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন যারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তারা এখনো দায়িত্বে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা শতভাগ নিশ্চিত বিজয় নৌকার হবে। কারণ অবহেলিত এ দক্ষিণাঞ্চলে যতো উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে বা হচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বরিশালের ৬ টি সংসদীয় আসনের ৮০৫টি কেন্দ্রে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বেছে নেবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/