ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বগুড়ায় ৪২ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
বগুড়ায় ৪২ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

বগুড়া: বগুড়ার সাতটি আসনে ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের আদেশে দু’জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা আসায় দু’টি আসনে বিএনপি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বগুড়ার আসনগুলোর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেন।

এদিকে, উচ্চ আদালতের আদেশে বগুড়া-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুল মোহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ আসনের বিএনপি প্রার্থী সরকার বাদল প্রার্থিতা ফিরে পান।

কিন্তু তার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তা এ দুই আসনে মাছুদা মোমিন ও মোরশেদ মিল্টনকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। বিষয়টি তার নজরে আনা হলে তিনি বগুড়া-৩ ও বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত রেখে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আগে বগুড়া-৩ আসনে মাছুদা মোমিন ও বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ মিল্টনকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে আদালত ওই দুই আসনে বিএনপির আরও দু’জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ করে আদেশ দেন। কাজেই চূড়ান্তভাবে কাকে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ বরাদ্দ দেওয়া হবে বিধি অনুযায়ী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর এ দুই আসনে বিএনপি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নানকে নৌকা, বিএনপির কাজী রফিকুল ইসলামকে ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা কামাল পাশাকে হাতপাখা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তবিবর রহমান মণ্ডলকে কলার ছড়ি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপির মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি জামাল উদ্দিন জুয়েলকে হাতপাখা ও মুসলিম লীগের শফিকুল ইসলামকে হারিকেন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদারকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের শাহজাহান আলী তালুকদারকে হাতপাখা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির লিয়াকত আলীকে কোদাল, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবদুল কাদের জিলানীকে টেলিভিশন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে মোটরগাড়ি, আফজাল হোসেনকে আপেল এবং আবদুল মজিদকে ডাব প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির মোশাররফ হোসেনকে ধানের শীষ, মহাজোটের প্রার্থী জাসদের রেজাউল করিম তানসেনকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের ইদ্রিস আলীকে হাতপাখা, তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেমকে ফুলের মালা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলীকে আম ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমানকে টেলিভিশন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমানকে নৌকা, বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির তাজ মোহাম্মদ শেখকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের মীর মাহমুদুর রহমানকে হাতপাখা, ইসলামী ঐক্যজোটের নজরুল ইসলামকে মিনার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রঞ্জন কুমার দে কে কোদাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সন্তোষ কুমার পালকে কাস্তে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ মণ্ডল জনকে মাথাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের আ ন ম মামুনুর রশীদকে হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আমিনুল ফরিদকে কাস্তে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমানকে টেলিভিশন, জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিককে গোলাপ ফুল ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির আমিনুর রহমান টিপুকে কুঁড়েঘর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে জাতীয় পার্টির আলতাফ আলীকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের শফিকুল ইসলামকে হাতপাখা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের শহীদুল ইসলামকে মই, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফজলুল হককে আম ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মোন্তেজার রহমানকে কুঁড়েঘর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমবিএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।