প্রতীক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন অনেকেই। এছাড়াও প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোস্টার টানানোর হিড়িক পড়ে যায় শহরজুড়ে।
রাজশাহীর হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে নৌকার প্রতীক পান ওমর ফারুক চৌধুরী। আর ধানের শীষ প্রতীক পান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। আর ধানের শীষ প্রতীক পান মিজানুর রহমান মিনু।
রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন নৌকা, শফিকুল হক মিলন ধানের শীষ, রাজশাহী-৪ আসনে প্রকৌশলী এনামুল হক এমপি নৌকা, সাবেক এমপি আবু হেনা ধানের শীষ, রাজশাহী-৫ আসনে ডা. মনসুর রহমান নৌকা ও সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা ধানের শীষ এবং রাজশাহী-৬ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নৌকা ও আবু সাঈদ চাঁদ ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের ছয়টি আসনের ছয়জন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন হাত পাখা।
রাজশাহীর সদর আসনের মহাজোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নিজে গিয়ে প্রতীক সংগ্রহ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী সিটি মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মহাজোটের নেতাকর্মীরা। প্রতীক নিয়ে জেলা প্রশাসনের সামনে থেকে তারা প্রচার শুরু করেন। এছাড়া অন্য আসনগুলোতে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরাও প্রচারণা শুরু করেছেন।
আর রাজশাহী-২ ও ৩ আসনের মিজানুর রহমান মিনু এবং শফিকুর হক মিলনের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক সংগ্রহ করেন সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। আর রাজশাহী-১ আসনের ধানের শীষের প্রতীক নিজে গ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ৬৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দাখিল করেন ৫৩ জন। যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ২৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করলে প্রার্থী থাকেন ৩০ জন। আর বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৯ জন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট ২৫ জন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এসএস/জেডএস