আগামী ১৩ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে এমন নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের দেবে সংস্থাটি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ থাকবে।
ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এ সংক্রান্ত চিঠি এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের তিনশ’ আসনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১৪ থেকে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
এবারের নির্বাচনে সাধারণ এলাকার ভোটকেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে দুইজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে।
র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণবিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।
সবমিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য মাঠে নামছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটার রয়েছেন।
এবার ভোটের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় সিংহভাগই যাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়। সেক্ষেত্রে ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান বিবেচনা করেই অর্থ বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় কতোদিন থাকবে তাও আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।
বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন।
৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে চারদিন মাঠে থাকবেন। এ সময় নির্বাচনী অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন।
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত মোট চারদিন মাঠে থাকবেন।
আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন পরের দিন পর্যন্ত।
এবার প্রথমবারের মতো ৪৫ হাজার গ্রাম পুলিশও নিয়োজিত থাকবে ভোটের দায়িত্বে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস