টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম এমপি নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে বিল খেলাপির কারণে তার সংসদ সদস্য পদ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান দলের নতুন যোগদানকারী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ আল মুনির। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর ছানোয়ার হোসেন ও শফিউল্লাহ আল মুনির দুইজনেই দাবি করছিলেন তারা মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন।
শফিউল্লাহ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের চিঠি জমা দিতে এসে জানান, মহাজোট প্রার্থী হিসেবে তাকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিকেলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে প্রতীক বরাদ্দের জন্য যে চিঠি দেওয়া হয় সেখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলোনা।
এদিকে বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেন হাল না ছেড়ে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দলীয় প্রতীকের চিঠির জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। পরে রোববার রাত ১০টার দিকে তাকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হয়। পরে তিনি সোমবার চিঠি জমা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নেন। জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেম সিংহ প্রতীক পান। প্রতীক পাওয়ার পরেই সব প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েন। এর মধ্য দিয়েই মহাজোট সংক্রান্ত জটিলতা ও আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।
ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোট হয়নি। এ আসনটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এনটি