রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।
পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ১৫ জন প্রার্থী রয়েছে কুমিল্লা-৩ আসনে।
গত ৯ ডিসেম্বর (রোববার) ছিলো প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ওইদিন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় আড়াই হাজার। এদের মধ্যে চার শতাধিক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৪১ জন-এ।
গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ১৪৭ আসনে ৩৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় ১৫৩টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৪ সালে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ না হলেও ২০০৮ সালের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশ নিয়েছিলো। সে সময় স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থী ছিলো ১ হাজার ৫৬৭ জন।
এরইমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে। এরমধ্যে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে নিজের প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশিষ্টগুলো থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় আনুষ্ঠানিকভাবে নামতে পারেন। দেশের বিভিন্ন আসন থেকে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টরা জানিয়েছেন, প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা এলাকায় নেমে পড়েছেন। অনেকে পোস্টারও টানানো শুরু করেছেন।
আচরণবিধি ভঙ্গ করেও অনেককে মিছিল করতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী ভোটের লড়াইয়ে প্রচারণায় সামিল হয়েছেন প্রার্থী-সমর্থক-ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার ১৯ দিন প্রচার কাজ চালানোর জন্য সময় পাচ্ছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। কেননা, প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টায়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় পার্টি সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস