ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন ঘিরে বগুড়ায় মাইকপাড়ায় কর্মযজ্ঞ

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
নির্বাচন ঘিরে বগুড়ায় মাইকপাড়ায় কর্মযজ্ঞ মাইক মেরামতের কাজে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা, ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচার-প্রচারণায় পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের পাশাপাশি মিছিল ও সভা-সমাবেশের জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে ‘মাইক’।

তাই বগুড়ায় মাইক সার্ভিস পেশার অনেকেই আগাম প্রস্তুত।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সন্ধ্যায় শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে মাইকযোগে প্রচার-প্রচারণা করতে দেখা গেছে সমর্থকদের।

রাতে সরেজমিনে শহরের চেলোপাড়া এলাকায় দেখা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার-প্রচারণার প্রধান মাধ্যম মাইক পাড়ায় দম ফেলার ফুসরত নেই। বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে পুরানো মাইকগুলো মেরামতের কাজ। নতুন মাইকগুলো সিটিং করে নেওয়া হচ্ছে। এক কথায় আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মাইক পাড়ায় চলছে কর্মযজ্ঞ। একাধিক মাইক সার্ভিস ব্যবসায়ীদের দোকানে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

রাজু মাইক, উল্কা মাইক, বুকুল মাইকসহ কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, দোকানের মালিক, টেকনিশিয়ান ও কর্মচারী মিলে মাইকের হর্নসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ কাজ।

মাইক সার্ভিস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সময়ের ব্যবধানে তাদের ব্যবসায় মন্দভাব চলে এসেছে। বছরের অধিকাংশ সময় তেমন একটা ব্যবসা হয় না। তবে বছরের নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল, সাংস্কৃতিক উৎসব ও বাৎসরিক পিকনিক থাকায় সবমিলিয়ে কমবেশি মাইক ভাড়া যায়। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি ভিন্ন,  এ সময়ে ব্যবসা জম জমাট।

ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন  জানান, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কাজে এখনো মাইকের কোনো বিকল্প নেই। যত মাধ্যমেই প্রচার-প্রচারণার কাজ চালানো হোক না কেন সভা-সমাবেশে প্রত্যেক প্রার্থী অবশ্যই মাইক ব্যবহার করে থাকেন।

নাজমুল হোসেনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, আগে প্রার্থীর পক্ষে মানুষ নিজেই কথা বলে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন। এখন অবশ্য সেই অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বেশ আগ থেকেই স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় স্লোগান রেকর্ড করা হয়। অনেকেই আবার গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্লোগান রেকর্ড করে নেন। ছেলে-মেয়ের মিষ্টি কণ্ঠে সবকিছু মিলিয়ে তা রেকর্ড করা হয়। ধারণকৃত সেই রেকর্ড মাইকযোগে প্রচার-প্রচারণা করা হয়।

ইতোমধ্যেই অনেক প্রার্থী মাইকের দোকানগুলোয় চাহিদামত মাইকের অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন। অনেক প্রার্থী সিরিয়াল দিয়ে রেখেছেন। তবে এ তালিকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।

অন্যরাও একেবারে পিছিয়ে নেই। ব্যক্তি ভেদে অনেক প্রার্থী প্রচার-প্রচারণার কাজ চালাতে মাইক বুকিং দিয়েছেন। আর ঠিকঠাক মত সেই সার্ভিস দিতে তাদের দিনরাত কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমবিএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।