মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা বলেন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারকাজ শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন জেলায় সহিংস ঘটনার খবর ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
রবার্ট মিলারকে বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সব দল অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার যেন সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র্যালি করার সুযোগ পায়। বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র আরও বিকশিত হয়। গণমাধ্যম, বিরোধী দলগুলো যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।
নির্বাচনে সবার শান্তিপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশায় তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হোক, আর সে যেই হোক, সবাই যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি-অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) উৎসাহিত করে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রাক মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও এরকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’। তারা দু’জন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ইলেকশন পর্যবেক্ষকও পাঠাবে।
মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ১৮৪১ জন প্রার্থী প্রচারকাজ শুরু করেছেন।
ব্যালট বাক্সসহ জেলায় জেলায় নির্বাচনী উপকরণও পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের তিনদিন আগে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ৪০ হাজার কেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ লক্ষাধিক বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইইউডি/আরআর