নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এইচটি ইমাম বলেন, সিইসি বলেছেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কেননা, সারাদেশে আমাদের কর্মীদের বেছে বেছে হামলা করা হয়েছে। নির্বাচনে তারাই তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেছে বেছে তাদের ওপর যে আক্রমণ তা গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, নোয়াখালীর ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আমাদের কর্মীকে প্রথমে চোখে মরিচের গুড়া দেওয়া হয়েছে। এরপর মাথা থেঁতলিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একটা স্বাধীন দেশে একাত্তরের মতো এমন নৃশংস কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না।
সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, সারাদেশে যে সহিংস ঘটনা ঘটছে, তারা তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এতে নিহত হয়েছে কয়েকজন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস