বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যানের অনুমতি ক্রমে তিনি লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন দলের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মণ্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, আনিসুর রহমান দেওয়ান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপার) সভাপতি একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ বাবুল, ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই সরকার, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশের (এনসিবি) চেয়ারম্যান ছাবের আহমেদ প্রমুখ।
এতে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার দৃঢ প্রত্যয়ে ২০০৭ সালে এনপিপি গঠিত হয়। এ নির্বাচেন সারাদেশে মোট ৮১টি আসনে লড়বে এনপিপির প্রার্থীরা।
‘সকল কন্ঠ প্রতিধ্বনিত হোক রাষ্ট্র পরিচালনায়’ স্লোগানের সালের ইশতেহারে বলা হয়, সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ বিজয়ী ও আনুপাতিক সদস্য প্রতিনিধি দিয়ে দু’কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা প্রতিষ্ঠা করা যেকোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রত্যক্ষ ভোটে বিজয়ী দল সরকার গঠন করবে। এতে ১শ’ সংরক্ষিত নারী আসনে প্রত্যক্ষ ভোটে নারী সদস্য নির্বাচিত হবে। সংসদ হবে ৪শ’ সদেস্যের।
বাকি দফাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সেবাখাতে (স্বাস্থ্য, শিক্ষা,পরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে) তাৎক্ষণিকাভাবে ধর্মঘট-কর্মবিরতির মতো হঠকারী কর্মসূচি আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা।
শিশু-বয়স্কদের সুরক্ষায় শিশু-বৃদ্ধ ভাতা চালু-বৃদ্ধি করা। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষক, অভিভাবক এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে কার্যাকরী সম্পর্ক তৈরি ও কর্মসূচি করা। এছাড়াও নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিতে ধর্মের উত্তরাধিকার আইন সংস্কার করা, ধর্মীয় মূল্যবোধ সংবেদনশীল জাতীয় সংস্কৃতি বিনির্মাণ, নির্বাচনে সরকারি প্রভাব মোকাবেলার স্থায়ী উপায় হিসেবে সর্ব বিরোধী দলীয় নির্বাচনকালীন ছায়া মন্ত্রিসভা গঠনসহ ২৬ দফা কর্মসূচির ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএফআই/এএটি