নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এর আগে ফোর্স মোতায়েন নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠক করে কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজিবি মোতায়েনের বিষয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর)। কারণ কমিশন এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি।
সচিব জানিয়ে দেন, ভোটকক্ষ থেকে ভিডিও করা যাবে না। তবে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবশ্যই অফিসের নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে সাংবাদিক পরিচয়পত্র নিতে হবে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পোস্টারে ব্যবহারের আবেদন প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলে খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহার করতে পারবেন। আর যাদের নিবন্ধন আছে, যেসব দলের প্রার্থীরা পারবেন না। কারণ, তাদের দলের প্রধান আছে। তবে এ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থী খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহার করতে পারবেন কি-না, তা আইন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না, এ বিষয়ে সচিব বলেন, মোবাইলের গতি কমানো বা টু জিতে নামিয়ে আনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এমন পরামর্শ এসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ভোটের মাঠে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকছে। বিগত নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন ছিল ১৫ দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/