নির্বাচন ভবনে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ড. কামাল হোসেনের উপর হামলার বিষয়টি আমরা আবগত নই।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, যদি কোনো পেন্ডিং ওয়ারেন্ট থাকে এবং আদালতের কোনো তাগিদ থাকে তা তামিল করতে হবে। কমিশনাররা এরইমধ্যে এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখা গেছে, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আগে থেকে অভিযোগ ছিলো। যারা এতোদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এখন ভোটের মাঠে প্রকাশ্যে চলে এসেছেন। পুলিশ তাদের ধরছে বা ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বিএনপির অভিযোগগুলোর বেশিরভাগেরই সত্যতা নেই। এছাড়া যে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে, সেগুলো অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) যে সভা (আইন-শৃঙ্খলা) হয়েছিলো সেখানে কমিশনাররা পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অত্যন্ত কড়া ভাষায় বলেছেন, অহেতুক যেন কাউকে হয়রানী না করা হয় এবং বিনা ওয়ারেন্টে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়।
সচিব বলেন, ৩০০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৮৪৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তারসঙ্গে আরো অনেক লোক প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন। বিপুল জনগোষ্ঠীর এ দেশে এ ধরনের একটি বা দু’টি ঘটনা ঘটতে পারে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস