নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন ভবনে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথা জানান।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসকে এরইমধ্যে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, আমাদের যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়াও বিগত একমাসে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এখন শুধু প্রিজাইডিং এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ বাকি। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে ৮টি বিভাগে কমিশনাররা নিজেরা গিয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে আলোচনা করবেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আরেকটি প্রস্তুতি বাকি রয়েছে। সেটি হলো ব্যালাট পেপার তৈরি। আশা করছি নির্বাচনের সাত দিন আগেই (২৩ ডিসেম্বর) সব এলাকায় ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। এখনো কিছু এলাকায়, এছাড়া এখনো উচ্চ আদালত থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা আসছে। তাই ক্ষেত্র বিশেষ ব্যালট ছাপানো কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে অবশ্যই ভোটের ৭ দিন আগেই সব এলাকায় ব্যালট পৌঁছে দেওয়া হবে।
সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এমন মন্তব্য করে ইসি সচিব বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন সশস্ত্রবাহিনী মাঠে থাকবে। তারা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে। আমাদের ৩ ধরনের বিচারকরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৫২ জন, ২৪৪ জন সিনিয়র ডিস্ট্রিক জাজ, জয়েন্ট ডিস্ট্রিক জাজ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৪০ জন। তারা নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে হাজারখানেক নির্বাহী ম্যাটিস্ট্রেট থাকবেন। তারা বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। যেহেতু নির্বাচনের মাঠে তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন তাই, পৃথকভাবে অন্য কোনো বাহিনীকে বিচারিক দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই।
এবার সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ১০দিন মাঠে রাখা হচ্ছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ লক্ষাধিক ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস