বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ, কমিউনিস্ট লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম ও মীর মোফাজ্জাল হোসেন।
প্রতিনিধি দলটি ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন।
শাহ আলম সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সরকারি দলের সমর্থকরা আমাদের নেতাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এছাড়া প্রচার কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশও একই আচরণ করছে। এসব জানাতেই সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। কিন্তু সাক্ষাৎ না করায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি ও জারি শাখায় জমা দিয়েছি।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-৬, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৭, পটুয়াখালী-৪, কুষ্টিয়া-৩, সাতক্ষীরা-১, জামালপুর-২ ও দিনাজপুর-৪ আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, সরকারি দলের কর্মীদের হামলা ও পুলিশি বাধা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-১২ আসনে জোটের প্রার্থী জোনায়েদ সাকির নির্বাচনী প্রচারণায় গত ১৩ ডিসেম্বর ফার্মগেট এলাকায় হামলা চালানো হয়। এছাড়া ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ওই আসনের মগবাজার, ইস্কাটন ও মনিপুর এলাকায় মই মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া-৩ আসনে মই মার্কার প্রার্থী শফিউর রহমান শফির প্রচারণায় পুলিশ বাধা দেয়।
শাহ আলম বলেন, আগে থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলেও পুলিশ অন্যায়ভাবে প্রচারণায় বাধা দেয়। এছাড়া, সাতক্ষীরা-১ আসনে বাম জোটের প্রার্থী আজিজুর রহমানের পথসভায় সরকার দলীয় জোটের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ জোটের। কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ হয়রানি করছে। এছাড়া বাকি আসনগুলোতেও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মীদের ওপর হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকের তার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারণায় বাধা ও পুলিশি হয়ারনিসহ বেশ কিছু বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আশাকরি, নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ