শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরের বটতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জাহিদ ফারুক। তিনি এ সময় উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা নৌকা মার্কার সমর্থক ও কর্মীদের উপর হামলা করেছে রাতে। এগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
হামলার বিষয়ে চরমোনাই ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী শাহ রিয়াজ সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শাকিল রাজারচর এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পোস্টার সাঁটাতে যান। সেসময় স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছালাম রাঢ়ী’র ভাতিজা ছাত্রদল নেতা শাকিল রাঢ়ী তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পরে শাকিল তার ১০/১৫ জন সহযোগী নিয়ে রাজারচর খেয়াঘাট সংলগ্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালান। এসময় তারা ছাত্রলীগ নেতা শালিকসহ ৩/৪ জনকে মারধর করেন।
তবে এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সদর আসনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার।
এদিকে শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরওয়ার নগরের চৌমাথা নবগ্রাম রোড এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এসময় তিনি চৌমাথা এলাকার আশপাশে গণসংযোগ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নৌকা মার্কার প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির প্রার্থী আরও বলেন, বিএনপির আমলেই বরিশালে মূল উন্নয়নগুলো হয়েছে। জনগণের প্রতি তাই ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে বরিশালের বাকি পাঁচটি আসনে প্রার্থীরা ভোটের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বরিশাল-১ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন তার কর্মী, সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পৃথকভাবে বিভিন্ন সময়ে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএস/আরআর