নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি রোববার (১৬ ডিসেম্বর) খোকনের পক্ষে জমা দেন তার ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলে তার নেতাকর্মী, সমর্থকদের হামলা ও অবৈধভাবে আটক করছিল পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ও ১৫ ডিসেম্বর সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তাকে শনিবার বিকেল ৪টায় সোনাইমুড়ী বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা ও জনসংযোগের বিষয়ে জানালে তারা সেখানে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না বলে জানান। এ বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও অবহিত করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে শনিবার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোনাইমুড়ি বাজারের প্রধান সড়কে স্থানীয় বিএনপি নেতার্কমীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও শান্তিপূর্ণ জনসংযোগ কর্মসূচির শেষ মুহূর্তে পুলিশ তাদের পেছনে অবস্থান নেয়। এরপর সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুল মজিদসহ একদল পুলিশ সদস্য সামনে এসে অনবরত গুলিবর্ষণ শুরু করে। মাহবুব উদ্দিন ওসিকে গুলি ছুড়তে নিষেধ করলেও তিনি অস্ত্র বের ছররা গুলি করেন, যা তার থুতনিতে লাগে। পরে পেছনের দিকে ফিরলে ওসি মজিদ আরো গুলি ছুড়লে পিঠে পাঁচটি ও হাতে দু’টি গুলিবিদ্ধ হয়।
‘এসময় তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও আহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদ অস্ত্র ব্যবহার করে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সরাসরি হত্যা চেষ্টায় জড়িত। ’
এ ঘটনায় ওসি আবদুল মজিদকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধও করেছেন খোকন।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
ইইউডি/এএ