সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে, আপনি কি তার বিরোধিতা করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কখনো তার বক্তব্যের বিরোধিতা করি না।
সারাদেশ থেকে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেওয়ার নানা অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। এখনো যে সময়টুকু আছে তাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির বিচারকদের আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। আমি মনে করি সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যাঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।
সিইসি বলেছেন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে, আপনিও কি তাই মনে করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, সব দল অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি-না এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি-না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।
নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে তা তারা বলতে পারবেন।
বর্তমান অবস্থায় আপনার কি কোনো মেসেজ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রার্থী, ভোটার এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আইনের বাইরে যাবেন না। আইনকে নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলুন। নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সহায়তা করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস