ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রওশন-ওয়াহাবের প্রচারণা সমানতালে

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
রওশন-ওয়াহাবের প্রচারণা সমানতালে

ময়মনসিংহ: পোস্টার সাঁটাতে না দেওয়া কিংবা ছিঁড়ে ফেলা, প্রার্থীর প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া ও হামলা-হুমকি- যেখানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের অভিযোগের মূল উপজীব্য, সেখানে উল্টো চিত্র ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে নির্বাচনী পরিবেশ অন্যরকম। এখানে নগর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রাম যেনো দুলছে ভোটের হাওয়ায়।

আসনটিতে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের বিপরীতে সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। পায়ে হেঁটে, গাড়িতে চড়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি।

সঙ্গে থাকা দলীয় নেতারাও উৎসবের আমেজে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠ মাতাচ্ছেন।

আর সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের পক্ষে টিম ওয়ার্ক করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিটি কর্মসূচিতে আওয়ামী সিনিয়র থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের নেতারা লাঙল প্রতীকে ভোট চাইছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। তারা জোটের প্রার্থীকে জেতাতে এক ও অভিন্নভাবে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছেন।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কে পাশাপাশি রশিতে দুলছে লাঙল ও ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার। ছোট-বড় মিছিল হচ্ছে মহাজোট-ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে। সকাল-সন্ধ্যা হচ্ছে মাইকিংও।

ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা। তখন তাদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনী লিফলেট। সেইসঙ্গে আশ্বাস-প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে।

নির্বাচনী প্রচারণা।  ছবি: বাংলানিউজ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোট পাঁচ প্রার্থী    ভোট করছেন। তবে মূল লড়াইটা জমে উঠেছে রওশন এরশাদ ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের মধ্যে।

নানা উন্নয়নমূলক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ভোটারদের সামনে যাচ্ছেন রওশন। পাশাপাশি আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।

এদিকে, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আবু ওয়াহাব আকন্দ। তিনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ময়মনসিংহের রাজনীতির মাঠ মাতিয়েছিলেন। এছাড়া দলের দুর্দিনে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে হতাশার উপকূলে ‘বাতিঘর’ হয়ে ওঠেন তিনি।

দল তাকে মূল্যায়ন করেছে। ভোট রাজনীতিতে তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি এবং সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এ নেতার।

ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ বছরে এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন রওশন এরশাদ। আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়ন এবং সততা দিয়ে তিনি এগিয়ে যাবেন। ভোটাররা তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

তবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোতোয়ালি বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলছেন এর বিপরীত। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মাঠের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এখানে উজ্জীবিত। ভোটাররাও বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের শতভাগ আশা জয় ছিনিয়ে আনবেন আবু ওয়াহাব।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এমএএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।