নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই কথা জানিয়ে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শরিক দলের প্রার্থীদের প্রচার কাজে খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চেয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ইসি সচিবকে চিঠি দেয় দলটি।
ওইদিন রাতেই ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলে খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহার করতে পারবেন। আর যাদের নিবন্ধন রয়েছে, সেসব দলের প্রার্থীরা পারবেন না।
‘কেননা তাদের দলের প্রধান রয়েছেন। তবে এ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থী খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহার করতে পারবেন কি-না, তা আইন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। ’
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন গণফোরামের কেউ যদি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে বিএনপি প্রতীক ব্যবহার করে, তাতে কোনো সমস্য নেই। তবে তার দলের প্রধান থাকায় তিনি অন্য দলের প্রধানের ফটো ব্যবহার করতে পারবেন না। আবার যেসব দলের নিবন্ধন নেই কিন্তু তাদের নেতারা বিএনপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা খালেদা জিয়ার ফটো ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন- মাহমুদুর রহমান মান্না। ’
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাময়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও এই সুযোগ পাবেন বলে জানান ইসি সচিব।
আইন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিএনপিকে দেওয়া সিদ্ধান্তের চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী- স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পোস্টার বা ব্যানারে নিজের ছবি ও প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো ছবি ছাপাতে পারবেন না। কোনো প্রার্থী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে তিনি নিজের ছবি ও প্রতীকের পাশাপাশি দলীয় প্রধানের ছবি ছাপাতে পারবেন।
কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করলে তাদের প্রার্থী জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু নিজ দলের প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবে না।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম, জেএসডি, এলডিপি ও নাগরিক ঐক্য, জামায়াতে ইসলামীসহ আরও বেশ কিছু দল নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছে।
৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এমএ