বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দু’টি প্রস্তাব করেছি। প্রথমত আমাদের যে ৮টি আসনে আদালতে রায়ে প্রার্থী শূন্য হয়ে গেছে, সেসব আসনে পুনঃতফসিল দেওয়া হোক অথবা আমাদের অন্য যে বৈধ প্রার্থী ছিলে তাদের মধ্য থেকে প্রার্থিতা দেওয়া হোক।
নির্বাচন কমিশন আমাদের বক্তব্য শুনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে বিএনপি যেসব প্রার্থী বৈধ হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৮টি আসনের ৮জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত। বিএনপি প্রার্থী শূন্য আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে-জামালপুর-৪ আসন, বগুড়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, রংপুর-১, ময়মনসিংহ-৮, ঝিনাইদহ-২, জয়পুরহাট-১, রাজশাহী-৬
ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আইন অনুযায়ী, গুজব ছড়ালে শাস্তি হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়ালে শাস্তি হয় কি না জানিনা। কেননা, ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো যে ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। কাজেই বিএনপির ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি গুজব।
'বিএনপি-জামায়াতে কাছ থেকে টাকা নিন, নৌকায় ভোট দিন' প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে টাকা নেওয়া কথা বলেন এটা আচরণ বিধির লঙ্ঘন।
সর্বকালে সেরা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মহাপুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এখনো নির্বাচন শেষ হয়নি। কাজেই ভবিষ্যতে যেটা হবে, তা নিয়ে তো এখনই বলা যায় না। মাহবুব উদ্দীন খোকনকে পুলিশ নিজেই গুলি করেছে, কাজেই সেরা পরিবেশ কিভাবে বলা যায়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। আর নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ