শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত এক অভিযোগে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার দাবি করেন এই প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান কলারোয়া থানার ওসি।
ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষদগার করেন বলে অভিযোগ করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
সরকারি কর্মকতা হিসেবে একজন ওসির এহেন কর্মকাণ্ড গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাবিব বলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এতদিন ধরে প্রচারণায় বাধা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।
এসব ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হাবিব নিজে এলাকা ছেড়েছেন বলেও কমিশনকে অবহিত করেন তিনি। জনমনে ধারণা, তালা-কলারোয়া এলাকায় ভোট ব্যবস্থা করবে পুলিশ, কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। তাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে পোস্টারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন হাবিব।
নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মহাজোট মনোনীত ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী তার নিজ দলের প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। যা নির্বাচনের আচরণবিধির ৭/২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আচরণবিধির লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
ইইউডি/এএ