স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে নির্বাচিত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন।
এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান।
এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে রুহুল হক ১০ বছরে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন তুলে ধরে এলাকায় এলাকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় করছেন।
এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, নির্বাচিত হলে ও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ফের মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন তিনি। এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কাজ করছে বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা।
অপরদিকে, এ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শহিদুল আলম। এলাকার মানুষের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন কারণে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মাঠে দাঁড়াতে না পারলেও নির্বাচনী প্রচারণা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইসহাক আলী সরদার পোস্টার ব্যানার টানিয়ে সাধ্যমত গণসংযোগ করলেও এ আসনে তাদের ভোট নেই বললেই চলে।
সবমিলিয়ে এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক ও ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শহীদুল আলমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই টার্মে নির্বাচনী এলাকাসহ গোটা সাতক্ষীরার জন্য সাধ্যমত উন্নয়ন করেছি। এলাকায় নৌকার জোয়ার উঠেছে। বিজয় সুনিশ্চিত।
ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার মানুষের কাছে আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু গণগ্রেফতার করে নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। ভাঙচুর-মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও দিয়েছি। কোনো সাড়া মিলছে না। তারপরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫১৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এনটি