নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী যে পরিমাণ সরব, ঠিক তার উল্টো অবস্থানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব- এমন পর্যবেক্ষণ স্থানীয় ভোটারদের। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর কিছুটা প্রচারণা চালাচ্ছেন কোদাল প্রতীকের প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি, জোনায়েদ সাকি নামেই যিনি পরিচিত।
রাজধানীর তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল ও শেরে বাংলা নগর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১২ আসন। মোট ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের এ আসনে এই তিনজন প্রার্থী ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শওকত আলী হাওলাদার (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির মো. নাসিরউদ্দিন সরকার (লাঙল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান (আম) লড়ছেন।
ভোটাররা বলছেন, এ আসনের সব এলাকায় আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের পোস্টার বেশি। বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প করে নৌকার পক্ষে ভোটের গান বাজছে। তারপর হাতপাখা ও কোদালের পোস্টার রয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর কোনো পোস্টার চোখে পড়ছে না। এমনকি ধানের শীষের প্রার্থীকেও না।
তেজকুনীপাড়ার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কামাল সাহেবের বিকল্প নেই। তিন সবসময় আছেন মানুষের পাশে। পোস্টার যেমন সব এলাকায় ছেয়ে গেছে তেমনি পুরো এলাকাজুড়েই আছেন তিনি। তার কোনো বিকল্প নেই। তিনিই শুধু ভোটের জন্য আসেন। আর তো কেউ আসেন না।
শেরেবাংলা নগর এলাকার ভোটার করিম খান বলেন, এখনো সময় আছে, নির্বাচনের কয়েকদিন বাকি। দেখা যাক, পরিস্থিতি কী হয়। শুধুই তো মন্ত্রী সাহেবকে দেখছি। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর তো দেখাই নেই। পোস্টারও নেই।
তবে পোস্টার-প্রচারণা না থাকলেও এই দুইজনের মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে মনে করেন করিম খান।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ডের মগবাজার, মধুবাগ, পেয়ারাবাগ ও মীরেরবাগ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা করে ভয় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখার ষড়যন্ত্র চলছে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব ভয়-বাধা উপেক্ষা করে আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন। কোদাল মার্কায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনাদের ভোট দিন।
গত কয়েকদিনে তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল এলাকা, তেজগাঁও শিল্প এলাকার ৭ নম্বর ইউনিট কুনীপাড়াবাসী আয়োজিত আলোচনা সভা, হাতিরঝিলসহ এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সভা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগের সময় প্রচারপত্র বিলি করছেন তার সমর্থকরা, যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ মন্ত্রীর সফলতার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গণসংযোগে তিনি ভোটারদের বলছেন, তেজগাঁও, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল ১০ বছর আগে ছিলো একটা ভীতির এলাকা। একটা সন্ত্রাসের জনপদ। চাঁদাবাজির জনপদ। আমরা দেখতাম কেউ বাড়িঘর করলে তাকে চাঁদা দিতে হতো। কারওয়ান বাজারে ব্যবসা করতে এলে তাকে চাঁদা দিতে হতো। না হলে খুন হতো। আজকে আমরা এখানে খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। হাতিরঝিলে একটা পূর্ণাঙ্গ থানা করেছি। এলাকার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/জেডএস