ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সরে দাঁড়ালেন লতিফ সিদ্দিকী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
সরে দাঁড়ালেন লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে কথা বলছেন লতিফ সিদ্দিকী-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।  সাবেক এই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ হারিয়ে সংসদ পদও হারিয়েছেন দশম সংসদ থেকে।

এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীক বরাদ্দও পেয়েছেন। তাই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক ছাপানো হবে।

আইন অনুযায়ী প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো পথ নেই।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

সিইসির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার মতো সমতল নয়। মাঠ এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের তলে পড়তে হয়। আর সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরীহ লোকদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করছে। যারা সমর্থক তাদের পুলিশ প্রতিনিয়ত টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এরপরে ইলেকশন করা যায় নাকি?

তিনি আরও বলেন, ইলেকশনটা তো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজ ২০১৮ সাল। এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিইসির সঙ্গে দেখা করেছি। কিছুই চাইনি। আমি কিছু চাওয়ার লোক না। আমি বলে আসলাম,  আপনি যে পরিচালনাটা করছেন এই পরিচালনায় আপনি ব্যর্থ। এই পরিচালনায় নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম।  

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন তো আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি নিরীহ মানুষকে হতাহত হওয়ার সুযোগ কেনো করে দেবো?  যারা হতাহত হবে তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি সেই দায় নেবো না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি লড়াই করবো। যার সঙ্গে লড়াই করবো সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেন যাবো এই ধরনের হানাহানিতে? 

তিনি বলেন, আমি তাকে (সিউসি) বলে দিয়ে আসলাম আপনি স্বীকার করুন আর না  করুন আপনি ব্যর্থ।  

কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলা হয়নি। আমিতো তার কাছে শুনতে চাইনি। আমি বলেছি এক মিনিট আপনার সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যাবো।  

তিনি বলেন, ওসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।  

সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে একটি লিখিত পত্রও সিইসি বরাবর জমা দেন তিনি। এতে নির্বাচনী পরিস্থিতির অবনতির কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন লতিফ সিদ্দিকী।

২০১৫ সালে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্য করায় মন্ত্রিত্ব পদ হারানোর পর দলীয় পদও হারান টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম টাঙ্গাইল-৪ আসনটি শূন্য ঘোষণার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন। সে অনুযায়ী স্পিকার নির্বাচন কমিশনকে বিরোধটি নিষ্পত্তি করতে বললে শুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তি করে ইসি। সে পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদটি শূণ্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।