রোববার (২৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেন ওই প্রার্থীর স্ত্রী।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উল্লেখ করে সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগ করে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ও নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ করে দিতে চিঠি দেন তার স্ত্রী শাহানাজ শারমিন জালাল।
চিঠিতে চাঁদপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়।
অভিযোগে জালাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভয়-ভীতিতে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারছেন না।
বিএনপির কর্মীরা বের হওয়ার চেষ্টা করলেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় তাদের মারধর করছে। চাঁদপুর-২ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন বিএনপির প্রার্থী।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ ডিসেম্বর মতলব দক্ষিণে বিএনপিপ্রার্থীর বাড়িতে হামলা করে পোস্টার ও নির্বাচনী সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার ওসি কবির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি কে এম ইকবাল হোসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মদদ দিচ্ছে।
এছাড়া বিএনপিপ্রার্থী জালাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ রাখতে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীর স্ত্রী শাহানাজ শারমিন জালাল। চাঁদপুর জেলা পুলিশের তিন কর্মকর্তা নিজেদের পদে বহাল থাকলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে একচেটিয়া ভোট করবে আওয়ামী লীগ। এতে দেশে-বিদেশে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। চাঁদপুর-২ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সদর সার্কেলের এএসপি ও দুই ওসিকে প্রত্যাহার করে দল নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে সিইসির কাছে জোর দাবিও জানান জালাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এএ