একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলেও তাদের ২৫ নেতা এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ২২ জন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং বাকি ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এর প্রেক্ষিতে ইসি রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকের পর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দলটির প্রার্থীরা যেহেতু স্বতন্ত্র এবং অন্য একটি দলের প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আদালত তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিলেন। আমরা কাল (সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।
২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর দলীয় প্রার্থী হতে হলে তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য পদে থাকার বিধানটি [১২ এর দফা ১ (ঞ)] বিলুপ্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে সংসদীয় কমিটি। এ প্রতিবেদন সংসদে তোলেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী মিয়া।
পরবর্তীতে বিধান তুলে দেওয়ায় ডিগবাজির পথ খুলে যায়। ফলে বর্তমানে যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো দল থেকেই সংশ্লিষ্ট দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আর এই সুযোগটিই নিয়েছেন জামায়াতের নেতারা। একই পথে হেঁটে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও গোলাম মাওলা রনিরা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, বিএনপির প্রার্থীশূন্য আসনে পুনঃতফসিল দেওয়া বা অন্য কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুতে ওই আসনে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। পুনঃতফসিল অনুযায়ী, এ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২ জানুয়ারি (রোববার)।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/