ভোটারদের ধারণা, প্রচারে থাকা ও না থাকার মধ্যেও ভোটের প্রভাব পড়বে। এতে বিএনপি প্রার্থীর জন্য নেতিবাচক ফল আসাটাই স্বাভাবিক।
ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ এবারও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৬ আসন। মিরপুরের বিভিন্ন অংশজুড়ে এই আসনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে, পাড়া, মহল্লায় ও রাস্তার পাশে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প। রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো হয়েছে হাজার হাজার পোস্টার ও অসংখ্য ব্যানার।
তবে ইলিয়াস মোল্লাহর তুলনায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর কোনো পোস্টারই চোখে পড়েনি শনিবার।
বরাবরের মতো এই আসনে বিহারী ক্যাম্পের ভোটারদের সমর্থনের বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু এবার সেই বিহারী ভোটাররা সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ’র পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা তাকে সমর্থন জানাবেন- এটাই বোঝা যাচ্ছে। সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহও তাদের পুর্নবাসনের কথা বলছেন।
পাশাপাশি এই আসনে বিভিন্ন গার্মেন্টস শিল্পের ভোটাররাও রয়েছেন। রয়েছেন বস্তির ভোটার। তারাও নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
পল্লবী ওয়াপদা কলোনির বাসিন্দা কায়সার আলম অনি বলেন, এ আসনে একচেটিয়া মোল্লাহ পরিবারের প্রভাব রয়েছে। এটা তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সেই হিসেবে এবার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন এমপি সাহেব। ভোটের মাঠ যার সে বিজয়ী হয়। বিএনপির প্রার্থীতো এখনো মাঠেই নামেনি।
কালশী এলাকার ভোটার তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রচার-প্রচারণায় ইলিয়াস মোল্লাহ এগিয়ে রয়ছেন। তাই তার জয়ে কোনো অসুবিধা দেখছি না।
মাঠে-ঘাটে প্রচারণার পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়ায় ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ’র পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণার ভিডিও পোস্ট করছেন।
এক ভিডিওবার্তায় দেখা যায়, তিনি রাজপথে নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুলিশকে সহায়তা করছেন। ছাদ বাগান করতে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে তিনি সময় কাটাচ্ছেন, শিশুদের চকলেট বিতরণ করছেন।
এই আসনের উপর দিয়ে মেগা প্রকল্প মেট্রোরেলের কাজ চলছে মিরপুরে। মেট্রোরেলের কাজের কারণে মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্তান প্রসব করলে মা যে রকম কষ্ট ভুলে যায়, মেট্রোরেল হলে তেমনি জনগণও কষ্ট ভুলে যাবে। এতে যানজট নিরসন হবে মিরপুরসহ ঢাকাবাসীর।
মোট তিন লাখ ৭৪ হাজার ৩৪০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮৯ হাজার ১৮৩ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৮৫ হাজার ১৫৭ জন।
এই দুই প্রার্থী ছাড়াও কোদাল প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নাঈমা খালেদ মনিকা, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আলী আহমেদ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছিদ্দিকুর রহমান ও আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদ উদ্দিন শেখ নির্বাচন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এএ